Sweden

সুইডেনে কেন পড়তে যাবেন ! ! !

সুইডেনের বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সারা বিশ্ব থেকে স্টুডেন্টরা Apply করে এই সেশনে। সারা বছর ধরে স্টুডেন্টরা মুখিয়ে থাকে এই Central Admission Open হওয়ার জন্য। কারণ এই সময়টাতে SWEDEN প্রচুর বিদেশী শিক্ষার্থী নেয়। গত বছর তিনেক ধরে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশী স্টুডেন্ট সুইডেনের ভিসা পেয়ে আসছে। আশা করা যাচ্ছে, ২০১৬ তেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে ।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে যে বিষয়টি ছাত্র/চাকুরীজীবিদের মধ্যে সবচেয়ে আলোড়ন তোলেছে সেটি হলো স্টাডি গ্যাপ কিংবা ব্রেক অব স্টাডি সুইডেনের ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা নয়। নিয়মিত স্টুডেন্টদের ক্ষেত্রে গ্রাজুয়েশনের পর ৫ বছর এবং চাকুরীজীবিদের ক্ষেত্রে ১০/১২ বছর পর্যন্ত Acceptable.
New Zealand, Australia,USA,UK,Canada এবং Germany থেকে অনেক বেশী Flexible সুইডেনের স্টুডেন্ট ভিসা পদ্ধতি। ব্যাংক স্টেটম্যান্ট ও খুব বেশি দেখাতে হয় না । কাজেই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা্ও দলবেঁধে যাচ্ছে সুইডেন । আর সবচেয়ে বড় যে সুবিধাটা পাচ্ছে বাংলাদেশি স্টুডেন্টরা সেটা হচ্ছে সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা স্মাতক হয়েছেন,তাদের IELTS লাগছে না। IELTS এর বাঁধা থাকছে না ‘এ’লেভেল পাশ করাদের জন্যও ।
No IELTS Require for O’/A’ Levels, all others Private & Public Universities.
বড় আরেকটি যে সুবিধার কথা না বললেই নয়, সেটা হচ্ছে অন্যান্য দেশেরমতো টিউশন ফি টা আগেই পাঠাতে হয় না । একটি প্রি-কনফার্মেশন পাওয়া ছাড়া স্টুডেন্টদের Tuition fee পাঠাতে হয় না ।
প্রথমে শুধুমাত্র Application fee 900(SEK) (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১০ হাজার টাকা) পাঠাতে হয় । অত:পর বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর online এ result Publish হয়। আর এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে Swedish Central Education Board. সুতরাং নির্বাচিত স্টুডেন্টদের মধ্যে টিউশন ফি প্রদানকারীদের ওরা আর রিফিউজ করে না । তারমানে Application Fee মাত্র ১০,০০০ টাকা দিয়েই একজন Student Pre-Confirmation পেয়ে যাচ্ছে । তারমানে ভিসা না হলে লাখ লাখ টাকার টিউশন ফি ফেরতের দুশ্চিন্তায় ভুগতে হয় না।
Requirement / Information:
Minimum GPA 2.50 in SSC & HSC including
Bachelor minimum 2.50
IELTS -6.5 for Bachelor / Master’s & MBA
N.B: NO IELTS FOR PRIVATE, PUBLIC UNIVERSITY
GRADUATE AND ‘A’ LEVEL STUDENT’S
Duration: Bachelor- 3 years
Master’s-1-1.5
Tuition fees: Around 3.5 lac to 7 lac per semester (Bachelor and Masters) variable as per different University.
Documents
1. All academic certificate and transcript.
2. Picture 3.5cm into 4.5cm (3 copies with white background).
3. Copy of passport
4. IELTS (if applicable)-6.5
সুইডেনে কেন পড়তে যাবেন ! ! !
সমৃদ্ধি ও সম্ভাবনার দেশ সুইডেন, নোবেলের দেশ, প্রযুক্তির দেশ সুইডেন। পের income এর দিক থেকে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলুর অন্যতম। পড়াশুনার মান বেশ উন্নত, সার। বিশ্বের স্টুডেন্টরা এখানে ভিড় জমায়।
সুইডেনকে বিশ্ব চেনে Country of innovation হিসেবে। Volvo, Scania, H.M,SKF, Ericson, AKZO NOBEL, Skype সহ জগত বদলে দেয়া এমন অনেক আবিষ্কারের সূতিকাগার এই সুইডেন।
সুইডেনকে বলা হয় স্টুডেন্টদের স্বর্গরাজ্য।
অবশ্য তার কিছু যৌক্তিক কারন ও আছে------
# ওয়েস্টার্ন কান্ট্রিগুলুর মধ্যে একমাত্র সুইডেনেই স্টুডেন্টরা Unlimited Hour job করতে পারে এবং Per Hour প্রায় $20 ডলার করে পায়।
# USA, Australia কিংবা Canada তে PR পাওয়া যতটাই কঠিন, Sweden এ PR পাওয়া ততটাই ঈজি।
# বিজনেস করতে পারবেন ছাত্র অবস্থায়। সুইডিশরা উদ্যোক্তা জাতি। লোকসংখ্যা মাত্র ৯৭ লাখ অথচ বিশ্বের ৩০০০ টি মাল্টিন্যাশনাল Company এর মালিক তারা।
# PR পাওয়ার পর কোন child conceive করলে বাবা- মা দুজনেই ১ বৎসরের on paid লিভ পাবেন।
# phd টোটাল Tuition Free একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের ভাতাও পাবেন (প্রায় প্রতি মাসে ২ লক্ষ টাকা )
# 30 ECT credit কমপ্লিট করার পর NORDIC (Norway, Finland, Denmark) যে কোন Country তে Credit Transfer করতে পারবেন।
# Study শেষে ৬ মাস চাঁকুরী খোঁজার জন্য সময় পাবেন।
# একসাথে Spouse Dependent হিসাবে সাথে নিয়ে যেতে পারবেন। 



ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়ের কথা ভাবছেন? চলে যান সুইডেন!

 গত বছর সুইডেনে সর্বমোট ৫৪২৫৯ জন রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করে যা প্রতিবেশী দেশ ডেনমার্ক ও নরওয়ের চেয়ে অনেক বেশি। শুধুমাত্র সিরিয়া থেকে গেল বছর সুইডেনে ১৬৫০০ জন রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে যেখানে উক্ত দেশ থেকে মাত্র ৭৫৪০ জন ডেনমার্কে এবং ১২০০০ জন নরওয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করে। ইউরোপে এককভাবে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন পড়ে জার্মানিতে যা নভেম্বরে গিয়ে এক লাখে দাঁড়ায়। বিদেশীদের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য দ্বিতীয় পছন্দের দেশ ছিল ফ্রান্স।
এদিকে, নরডিক কান্ট্রিজগুলোর মধ্যে ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ছেড়ে সবাই কেন সুইডেনে ঝাপিয়ে পড়ছে? সম্ভবত এর উত্তর একটাই রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতি সুইডেন অনেক নমনীয়তা প্রদর্শন করে।উল্লেখ্য, অন্যান্য দেশে যেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা উপচে পড়ছিল সেখানে গত বছর ফিনল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০০০ জন যেখানে সিরিয়া থেকে আসে মাত্র ১৩৫ জন! এছাড়া সুইডেনে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের কেউ যদি ক্যাম্পে থাকে না চাই, তবে তারা প্রাইভেট বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারে এবং সুইডিশ ইমিগ্রেশন এর জন্য আর্থিক অনুদানও দিয়ে থাকে যেটি ডেনমার্ক বা নরওয়েতে পাওয়া যায় না।
২০১৩ সালে সুইডেনে জব ভিসা ও অনান্য ভিসা নিয়ে আসা সব মিলে সর্বমোট ১১৬৫০০ জন পার্মানেন্ট রেসিডেন্স পারমিট পায় যা এযাবৎ কালের একটা রেকর্ড এবং ২০১২ সাল থেকে এ সংখ্যা ৫ শতাংশ বেশি। এখন সুইডেনে সকলের কাছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ডেনমার্ক বা নরওয়ে বাদ দিয়ে সবাই কেন সুইডেনে ঝাপিয়ে পড়ছে এবং কেনই বা সুইডেন সরকার এত উদারতা দেখাচ্ছে? উল্লেখ্য, এককভাবে সিরিয়া থেকে আসা সকল অ্যাসাইলাম সিকারের প্রায় ৬০% আসে সুইডেন ও জার্মানিতে।
এদিকে, সুইডেনের নমনীয় ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন আইন আর ডেনমার্কের বিপরীত বা কঠিন ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন আইন দুটো দেশের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে নরওয়ে সরকারও ডেনমার্কের মত বেশ কঠিন ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন আইন আনতে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে উদ্দেশ্য একটাই বিদেশীদের সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং অ্যাসাইলাম সিকারের সংখ্যা হ্রাস করা।
উপসংহারঃ নো ইস্ট নো ওয়েস্ট সুইডেন ইজ দ্যা বেষ্ট! ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য সুইডেন আদর্শ দেশ হতে পারে এবং মামলা করলে ভাল রেজাল্ট পাবার সম্ভবনা অন্য যেকোন দেশের চেয়েই বেশি।
ছবিঃ সিরিয়া থেকে আগত রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীরা ডেনিশ বিদ্বেষমূলক আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। উৎসঃ ইউল্যান্ড পোস্টেন।